মুক্তপাঠ মানসিক স্বাস্থ্য ও মুক্তপাঠে মানসিক স্বাস্থ্য
মুক্তপাঠ মানসিক স্বাস্থ্য ও মুক্তপাঠে মানসিক স্বাস্থ্য মনের স্বাস্থ্য ভালো না থাকলে শরীরে অসুস্থ হয়ে পড়ে থাকে। সাধারণত আমরা শরীরের অসুখ টের পেলেও নিজের কিংবা অন্যের মনের অসুখ টের পাই না। এ কারণে অনেকেই মানসিকভাবে বেকার গ্রস্ত নেশাগ্রস্থ কিংবা আত্মহণকারী হয়ে ওঠেন। এজন্য ট্রিট ও সুস্থ থাকতে অবশ্যই মানুষই স্বার্থের যত্ন নেওয়া খুবই জরুরী। কর্মব্যস্ত জীবনে অনেকেরই দু’দ’ণ্ড বসে কাটানোর ফুরসত নাই। এ কারণে মানুষের মধ্যে চাপ ও উদ্বেগ বাড়ছে দিনে দিনে। দীর্ঘদিন এভাবে থাকতে থাকতে মানসিক স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটে থাকে।
মুক্তপাঠ মানসিক স্বাস্থ্য ও মুক্তপাঠে মানসিক স্বাস্থ্য
হেল্প বাংলাদেশ শীর্ষক এক প্রতিবেদনে অনুসারে দেশের মোট জনসংখ্যার প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে ২০% মানুষ বিভিন্ন ধরনের মানসিক রোগে আক্রান্ত। প্রতিবেদনে অনুসারে মহামারী করোনার কারণে মানসিক রোগের ব্যাপকতা আরো বৃদ্ধি পেয়েছে।
নিজেকে মানসিকভাবে সুস্থ রাখার দায়িত্ব কিন্তু আপনারই তাই মানসিক রোগ যেন বাসা না ভাবতে পারে। সেই দিকে সবাইকে সময় থাকতে সচেতন হতে হবে। মানুষের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে ১০ উপায় মেনে চলুন। ঘুম শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।মস্তিষ্কের রসায়নিক পদার্থগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে থাকে। এর রাসায়নিক গুলো আমাদের মেজাজ ও আবেগ পরিচালনা করে থাকে।
যদি আমরা পর্যাপ্ত না ঘুমায় তাহলে মস্তিষ্কে বিভিন্ন অংশ ঠিকমতো কাজ করে না। ফলে হতাশ ও উদ্দীগ্ন হয়ে পড়া স্বাভাবিক। তাই পর্যাপ্ত ঘুমের বিকল্প নেই। পুষ্টিকর খাবার শুধু শরীরের জন্য গুরুত্বপূর্ণ নয় বরং মনের জন্য উপকারী। কিছু খনি যেমন আয়রন ও ভিটামিন বি ১২ এর ঘাটতি মেজাজ পরিবর্তনের জন্য দায়ী। সুষম খাবার খাওয়া খুবই জরুরী। যদি খিটখিটে মেজাজ হতাশা বা অগ্নিকণতায় ভোগেন তাহলে কফি খাওয়া কমিয়ে আনুন।
মুক্তপাঠ মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক ফাস্ট এইড
অনেকে হতাশা ধূমপান ও মাদকের উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েন। তবে জানেন কি এগুলো হতাশা কাটায় না বরং শরীর ও মনে বিরূপ প্রভাব ফেলে। দীর্ঘ সময় ধরে অতিরিক্ত মদ্যপান শরীরের থায়ামিনের ঘাটতি হতে পারে। থায়ামিন মস্তিষ্কের কার্যকারিতার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এর ঘাটতি দেখা দিলে স্মৃতি বিভ্রাট, মনোযোগের অভাব, বিভ্রান্তি ও চোখের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
আবার যদি আপনি ধূমপান করে নেটে থাকা নিকোটিন শরীরও মস্তি উভয়ের ক্ষতি করে থাকে। পরবর্তী ধূমপান বন্ধ করলে আপনি আরো বিরক্ত অভিন্ন হয়ে উঠতে পারেন। তাই মাদক মুক্ত জীবন গড়ুন। সূর্যলোক ভিটামিন ডি এর একটি বড় উৎসব ভিটামিন ডি সরিল ও মস্তিষ্কের খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এটি মস্ত পিকচার ক্ষতিকারক পদার্থ দূর করে ফলে আরো উন্নত হয়।
কারণ এন্ডর ফিন ও শেরোটনিন এর উৎপাদন বেড়ে যায়। তবে রোদে গেলে তক চোখকেও নিরাপদ রাখুন। প্রতিদিন অন্তত আধাঘন্টা থেকে দুই ঘন্টা গায়ে সূর্যের আলো মাখুন। শীতের সময় অনেকে হতাশ হয়ে পড়েন। কারণ তখন সূর্যের দেখা কম পাওয়া যায়। এটি সিজনাল এফেক্টিভ দিস অর্ডার এস এ ডি নামে পরিচিত।
মুক্তপাঠ মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক প্রশিক্ষণ
সবার জীবনে কাজের চাপ আছে তাই বলে এই নিয়ে বেশি দুশ্চিন্তা করা উচিত নয়। এ সমস্যার সমাধানে আপনাকে জানতে হবে কিভাবে আপনি চাপ সামলাবেন। যদি না পারেন তাহলে মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়বেন। এজন্য দৈনন্দিন জীবনের কোন না কোন সমস্যা তালিকা তৈরি করুন। এরপর তা সমাধানের উপায় খুঁজুন। অযথা অলিক কল্পনায় ডুবে থাকবেন না। যখন দেখবেন আপনার ঘুমাতে সমস্যা হচ্ছে তার অর্থ হলো আপনি বেশি দুশ্চিন্তা করছেন।
মানুষের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে অবশ্যই আপনাকে নিয়মিত শরীরচর্চা করতে হবে কারণ যত বেশি থাকবেন রাসায়নিক পদার্থ গুলো বেড়ে যায়। যা মেজাজ ভালো রাখতে সহায়তা করে অন্যদিকে শরীর চর্চার অভাবে মেজাজ খারাপ হতে পারে। পাশাপাশি উদ্যোগ চাপ ক্লান্তীয় অলসতা বোধ করতে পারেন। তাই শরীরও মন দুটোই ভালো রাখতে নিয়মিত শরীরচর্চা করুন।
ম্যারাথন দৌড় বা ফুটবল খেলার প্রয়োজন নেই আপনি নিয়মিত হাটাহাটিও গাইড পরিশ্রম করে অসুস্থ থাকতে পারেন। আপনার যা ভালো লাগবে বা করতে ইচ্ছে করবে তাই করুন। আপনার যদি ঘুরতে যেতে শপিং করতে কিংবা ছবি আসতে ভালো লাগে তাহলে তাই করুন। আপনি যা উপভোগ করেন সেই কাজগুলো যখন করবেন তখন মন ভালো থাকবে।
মুক্তপাঠ মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক কোর্স
বিশেষজ্ঞদের মতে যারা অন্যের বাধ্যগত হয়ে নিজের খুশিকে দমিয়ে রাখেন তাদের মধ্যে টিটটিটি মেজাজ ও অসুখী হওয়ার সম্ভাবনা বেশি দেখা যায়। তাই নিজের ভালো লাগাকে প্রাধান্য দিন। অন্যদের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক বজায় রাখার চেষ্টা করুন। যখনই সুযোগ করবেন মানুষের সঙ্গে কথা বলেন গবেষণা দেখা গেছে অন্যদের সঙ্গে মাত্র 10 মিনিট কথা বলা স্মৃতিশক্তি পরীক্ষার উন্নত করতে পারে। তাই মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়ানো মিশুখ হওয়ার চেষ্টা করুন।
কাউকেই সাহায্য করলে নিজের মধ্যে অন্যরকম ভালো লাগার অনুভূতি কাজ করে। তাই অন্যের জন্য কিছু করার চেষ্টা করুন। কোন দারিদ্র্যকে খাবার বা পোশাক কিনে দিন কিংবা সামান্য অর্থ দিয়ে সাহায্য করুন। দেখবেন আপনার মন আরো ভালো হয়ে যাবে। নির্দিষ্ট কোন বিষয় নিয়ে হতাশ না হয়ে বরং বিশ্ব সম্পর্কে ধারণা তৈরি হবে। নিজেকে অসহায় ভাবার আগে না খেয়ে থাকা।