প্রেগন্যান্সির প্রথম তিন মাস

প্রেগন্যান্সির প্রথম তিন মাস গর্ভধারণের পর থেকেই নিজের গর্ভের সন্তানের সুস্থতা রক্ষার যত্ন নিতে হবে। বিশেষ যত্নের অন্যতম প্রধান হলো খাদ্যবাস। গর্ভাবস্থায় সুষম খাদ্যবাস মেনে চলা অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। গর্ভাবস্থায় প্রথম তিন মাসের খাদ্য তালিকায় আয়রন ফলিক অ্যাসিড ক্যালসিয়াম ওমেগা 3 ফেটি অ্যাসিড জিং প্রোটিন সম্পৃক্ত খাবার রাখতেই হবে। এই উপাদানগুলি আপনার ব্রণের বৃদ্ধি ও বিকাশ সহায়তা করে থাকে ও বিভিন্ন জন্মগত ত্রুটির রোধে সহায়তা করে থাকে। প্রতিটি মানুষের শরীর আলাদা হয়ে থাকে গর্ভধারণের পর খাদ্যবাসের বিষয়টি একবার আপনার নিয়মিত চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলে নেওয়া উচিত। গর্ব অবস্থায় সুস্থ থাকার জন্য কি খাবেন সেটা জানার জরুরি পাশাপাশি কিভাবে খাবেন না সেটা জানাও জরুরী।


প্রেগন্যান্সির প্রথম তিন মাস


প্রেগন্যান্সির প্রথম তিন মাস

গর্ভাবস্থায় এর সময় অতিরিক্ত ক্যাফেইন জাতীয় খাবার যেমন চা-কফি ইত্যাদি কম খেতে হবে।অতিরিক্ত ক্যাফিন জাতীয় খাবার গর্ভপাতের কঠোর আশঙ্কা বাড়িয়ে দিয়ে থাকে।সামুদ্রিক মাছ কম খেয়ে মিঠা পানীয় মাছ বেশি খাবেন কারণ সামুদ্রিক মাছের পারদের পরিমাণ বেশি থাকায় ভ্রুনের মস্তিষ্কের বিকাশের প্রভাব ফেলে থাকে। আধা সিদ্ধ ডিম ও মাছ-মাংস খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। মাংস ও ডিম সালমোনেলা ব্যাকটেরিয়া ইত্যাদি থাকতে পারে যার ফলে গর্ব অবস্থায় প্রাথমিক দিকে গর্ভপাতের কারণ হতে পারে।

প্রাণিজ প্রোটিন ভালোভাবে রান্না করে খাওয়া। ডিম পোচ করা হাফ বয়েল ও আধা সেদ্ধ মাছ-মাংস ইত্যাদি একদমই খাবেন না। কাঁচা পেঁপে খাওয়া আনারস থেকে যত সম্ভবত বিরত থাকা উচিত। উচ্চ ফাইবার যুক্ত খাবার যেমন বাদামী ভাত ওলা মুখ সবুজ মটর ঠোঁটা ব্রকলি শাকসবজি ইত্যাদি খাবেন। গর্ব অবস্থায় সুস্থ থাকার জন্য কি খাবেন এবং কি খাবেন না সেটা ভালো করে জানা অতি জরুরী বিষয়।


প্রেগনেন্সির প্রথম তিন মাস কেন গুরুত্বপূর্ণ?

প্রসাব অথবা রক্ত পরীক্ষা থেকে জানা যায় প্রেগনেন্সি হয়েছেন কিনা। বাসায় বসে প্রেগনেন্সি টেস্টের মাধ্যমে আপনি নিজেই টেস্ট করতে পারবেন। সন্তান প্রসব গর্ভকাল 9 মাস হয়ে থাকে এই নয় মাসকে চিকিৎসকরা তিন ভাগে ভাগ করে থাকেন যার প্রতি ভাগে থাকছে তিন মাস। শেষবার মাসিকের প্রথম দিন থেকে প্রথম তিন মাস গোনা শুরু হয় গর্ভবতী হওয়ার লক্ষণ। সন্তান সম্ভাবনা মায়ের বেলায় প্রথম তিন মাসে মাথা ঘুরে বমি বমি ভাব দেখা দিয়ে থাকে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এটি দিনের বেলা হয়ে থাকে এটিকে মর্নিং সিকনেস বলা হয়ে থাকে।

গর্ভকাল নারীর বেলায় ভিন্ন ভিন্ন শারীরিক ও মানসিক অভিজ্ঞতা নিয়ে আসতে পারে। কোন কোন নারীর এ সময় নানা কিছু খাওয়ার তীব্র ইচ্ছা হয়ে থাকে যাকে ফুট ক্র্যাভিং বলে থাকে। আবার অনেক ক্ষেত্রে কারো কারো রুচি মোটে থাকে না। গর্ভবতী মায়েরা আগের মতই স্বাভাবিকভাবে খাওয়া দাওয়া করে থাকেন। প্রথম তিন মাসে স্তন বড় হওয়া ও ভারী হতে পারে। ইউটেরাস বড় হতে থাকে বলে ব্লাডারে চাপ পড়ে, তাতে গর্ভবতী নারীর আগের তুলনায় প্রসবের বেগ বেড়ে যায়।

এতে করে অনেক গর্ভবতী মায়েরা ক্লান্তি বোধ করে থাকেন। তাই মনের অবস্থা নিয়ে জীবনসঙ্গী অথবা কাছের কোন বন্ধুর সঙ্গে আলাপ করা ভালো। অস্থিরতা দেখা দিলে ডাক্তার অথবা ধাত্রীর সঙ্গে পরামর্শ করতে হবে। যদিও নির্ভর করে সন্তান সম্ভাবনা মায়ের শরীর কেমন রয়েছে ও গর্ভ অবস্থা সন্তানের বৃদ্ধির উপরে। চিকিৎসকরা ১২ সপ্তাহের মাথায় অনেকের বেলায় আলট্রাসাউন্ড করতে বলে থাকেন। পেটের সন্তানের হার্টবিট ওই সময় শোনা যেতে পারে।

এছাড়াও চিকিৎসকরা পেটে জমজ সন্তান রয়েছে কিনা সেটিও জানতে পারেন। সেই সঙ্গে প্রসবের তারিখ ও গর্ভবতী মা কতটুকু সুস্থ আছেন তা বলে দিতে পারেন। গর্ভকালের প্রসাবের সংক্রমণ হতে পারে অনেকেরই তা সময়মতো সনাক্ত না করা হয় তবে অপরিণত প্রসাব হতে পারে। প্রথম তিন মাস খাবারের পরিমাণ খুব বেশি একটা বাড়াতে হবে না তবে বেশি বেশি পুষ্টিকর খাবার খেতে পারেন। শরীরচর্চা গর্ভবতীকে সুস্থ রাখে যদি নারী তাতে কোন অসুবিধা বোধ না করেন তবে চিকিৎসককে জানাতে পারেন। প্রথম তিন মাসে কোন সুদ নির্দিষ্ট কোন চিকিৎসকের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখুন। এতে নিজের গর্ভের শিশুর সুস্থতার পুরোপুরি মনোযোগ দেওয়া যাবে।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url