এপেন্ডিসাইটিস এর প্রাথমিক চিকিৎসা

এপেন্ডিসাইটিস এর প্রাথমিক চিকিৎসা এপেন্ডিসাইটিস সাধারণত অপারেশনের মাধ্যমে দ্রুত সম্ভব রোগের এপেন্ডিসাইটিস কেটে ফেলে দিতে হয়। এপেন্ডিসাইটিস হয়েছে এমনটি ধারণা করলে সাধারণত এপেন্ডিসাইটিস কেটে ফেলে দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়ে থাকে। এপেন্ডিসাইটিস নির্ণয় করা সম্ভব না হলে সাধারণত ঝুঁকি না রাখার জন্য পরামর্শের উপর জোর দেওয়া উচিত।এপেন্ডিসাইটিস হওয়ার পরেও যদি অপারেশন না করানো হয়, তাহলে এপেন্ডিসাইটিস ফুলে একসময় ফেটে যাওয়ার সম্ভাবনা থেকে যায়।এপেন্ডিসাইটিস ফেটে যাওয়ার কারণে গুরুতর সমস্যা রোগীর মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।সাবধানতা বসত এটি কেটে ফেলে দেওয়ায় নিরাপদ বলে বিবেচনা করা হয়।এপেন্ডিসাইটিস কোন গুরুত্বপূর্ণ কাজের সাথে জড়িত না। আমাদের শরীরে এপেন্ডিসাইটিস অপারেশন করা হলে কোন দীর্ঘমেয়াদি সমস্যা হয় না।এপেন্ডিসাইটিস হওয়ার পরে এপেন্ডিসাইটিস অপারেশন করা না হলে, সেটির ফলাফল মারাত্মকভাবে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে থাকে।


এপেন্ডিসাইটিস এর প্রাথমিক চিকিৎসা

এপেন্ডিসাইটিস এর প্রাথমিক চিকিৎসা

এপেন্ডিসাইটিস অপারেশনের জন্য বর্তমানে সাধারণত লেপেরোস্কোপিক সার্জারি বেছে নেওয়া হচ্ছে।এই পদ্ধতিতে রোগী অপেক্ষাকৃত দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠে। হাসপাতাল থেকে তুলনামূলক দ্রুত ছুটি পেয়ে বাড়ি যাওয়া যেতে পারে। অপারেশনের আগে জেনারেল অ্যানোস্থেসিয়ার মাধ্যমে রোগীকে সম্পূর্ণ অচেতন করে নেওয়া হয়ে থাকে এবং অপারেশনের প্রক্রিয়া শুরু করা হয়। পুরো পেট না কেটে পেটে তিন থেকে চারটি ছোট ছোট ছিদ্র করে নেওয়া হয়। বিশেষ কিছু যন্ত্র এই চিত্রগুলো দিয়ে প্রবেশ করানো হয়। একটি নল বা টিউব এর সাহায্যে পেটে গ্যাস ঢুকিয়ে পেট ফুলানো হয়ে থাকে।

সার্জন অ্যাপেন্ডিক্স সবকিছু পরিষ্কারভাবে দেখতে পেটের ভিতরে সহজে কাজ করার জন্য বেশি জায়গা পাওয়া যায়। একটি ল্যাপারোস্কোপ লাইট ও ক্যামেরাযুক্ত ছোট টিউব এর সাহায্যে পেটের ভিতর ছবি সরাসরি বাইরে রাখা একটি টিভির পর্দায় দেখা যায়। এই ভিডিও ছবি পর্দায় দেখে দেখে সার্জন অপারেশনটি গুরুত্বসহকারে পরিচালনা করে থাকে।ছোটখাটো সার্জিকাল যন্ত্রপাতি সার্জিক্যাল হুক ও কাচি এসব যন্তু পেটে ঢুকিয়ে এপেন্ডিসাইটিস কেটে বের করে আনে। 

এপেন্ডিসাইটিস অপারেশনের পর ছিদ্রগুলো বন্ধ করা ও ছোট ছোট সেলাই দেওয়া হয়ে থাকে।সাধারণত এমন সার্জিক্যাল সুতা ব্যবহার করা হয় যেগুলো আস্তে আস্তে শরীরের সাথে মিশে যায়। এই সেলাই আলাদা করে কোন কাটার প্রয়োজন হয় না, এটি শরীরের সাথে মিশে যায়। এই ধরনের সুতার পরিবর্তে অনেক সময় স্টেপলার পিন অথবা শরীরে মিশে যায় এমন সুতা ব্যবহার করা হয়ে থাকে।এপেন্ডিসাইটিস অপারেশনের ৭ থেকে ১০ দিন পর সেলাইয়ের ব্যবহৃত সার্জিক্যাল সুতা ও স্টেপলার পিন শরীর থেকে অপারেশন করে ফেলতে হয়। এটি সাধারণ ভাষায় সেলাই কাটা বলে।

হাসপাতালে অপারেশন করা সেখানেই সেলাই অপসারণের ব্যবস্থা করা হয়। রোগীর সুবিধার্থে নিকটস্থ স্বাস্থ্য কেন্দ্র যে এ সেলাই কাটিয়ে নেওয়া যেতে পারে। ল্যাপারোস্কোপি এর মাধ্যমে এপেন্ডিসাইটিস এর অপারেশন করা যায় না। পেট সরাসরি কেটে অপারেশন করতে হয় এবং অপারেশনের এই পদ্ধতির নাম ওপেন সার্জারি বলে। ওপেন সার্জারির পূর্বে রোগীকে সাধারণত স্পাইনাল অ্যানেস্থেসিয়া দেওয়া হয়ে থাকে। এই পদ্ধতির মাধ্যমে রোগের কোমর থেকে পায়ের পাতা পর্যন্ত অবশ করে অপারেশন করানো হয়। কখনো জেনারেল অ্যানেস্থেসিয়ার মাধ্যমে রোগীকে সম্পূর্ণ অচেতন করে নিয়ে অপারেশনের প্রয়োজন হতে পারে।

ওপেন সার্জারির ক্ষেত্রে তলপেটের ডান পাশ কেটে অপারেশন করে এপেন্ডিসাইটিস বের করে আনা হয়। কিছুটা বড় করে শুধু একবারই কাটা হয় বার বার কাঁটা ছেঁড়া করা হয় না। পেটের মধ্যে ইনফেকশন ছড়িয়ে পড়লে কখনো পেটের একপাশে কাটার পরিবর্তে মাঝ বরাবর লম্বালম্বি ভাবে কেটে অপারেশন করার প্রয়োজন হয়ে থাকে। এই ওপেন সার্জারির ক্ষেত্রে ল্যাপারোস্কোপির মতো শরীর এর সাথে মিশে যাবে এমন সুতা দিয়ে সেলাই করা হয়ে থাকে। অনেক সময় শরীরের সাথে মিশে যায় না এমন সার্জিক্যাল সুতা দিয়েও ক্ষতস্থান সেলাই করা যেতে পারে।

এপেন্ডিসাইটিস এর প্রাথমিক চিকিৎসা বিষয় গুলো কি?

এপেন্ডিসাইটিস একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ আমাদের হজমের সহায়ক উপকারী ব্যাকটেরিয়া আশ্রয়স্থল।ডায়রিয়া অথবা কোন কারণে আমাদের পেট পুরোপুরি পরিষ্কার হয়ে হজম শখ উপকারী সব ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস হয়ে ঠিক তখনই এপেন্ডিসাইট থেকে আগত সেই উপকারী ব্যাকটেরিয়া গুলো হজম প্রক্রিয়াকে পুনঃ জীবিত করে তুলে থাকেন। বৃহদন্ত্রের তিনটি অংশের মধ্যে একটি অংশ হচ্ছে সিকাম,  ছোট্ট আঙ্গুলের মত অংশটি হলো এপেন্ডিসাইটিস। 

এপেন্ডিসাইটিস একটি চিকিৎসা গত জরুরি পরিস্থিতি যে কোন বয়সে ঘটতে পারে।এপেন্ডিসাইটিস একটি বেদনাদায়ক স্ফীতি বা প্রদাহ ছোট নলাকার বা আঙ্গুলের মতো থলি বা বৃহদন্ত্র থেকে প্রসারিত হয়ে থাকে। এপেন্ডিসাইটিস মুখটা হচ্ছে ছোট মল যুক্ত বস্তু এর মধ্যে জমা হতে পারে।একটা বাধা সৃষ্টি করে থাকে এই বাধা জীবাণুগত সংক্রমণ গড়ে তুলতে পারে। এপেন্ডিসাইটিস এই পর্যায়ে যদি ফেটে যায়, সময় মতো চিকিৎসা না করা হয় এটি পৈটিক গহ্বরে জীবাণুগত সংক্রমণ ছড়াবে। এপেন্ডিসাইটিস উত্তপ্ত হয় আপনি পেট থেকে ব্যাথা অনুভব করতে পারেন।

ধীরে ধীরে এই ব্যথা তীব্র এবং অবিরত হয়। হাঁটাচলা করতে কাশতে থাকা অথবা পেটে চাপ দেয়া ব্যথাটি আরো খারাপ করে থাকে। জ্বর খিদে না হওয়া এবং পেট খারাপ এইগুলো অ্যাপেন্ডিসাইডের সাথে কখনো জড়িত হয়ে থাকে। এপেন্ডিসাইট হচ্ছে একটি অস্ত্র প্রচার মূলক প্রক্রিয়া যেখানে এপেন্ডিসাইটিস বের করার জন্য তলপেটে একটি ছোট্ট ছিদ্র করা হয়ে থাকে।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url