কিচমিচ কিভাবে তৈরি হয় ও কিসমিস খাওয়ার উপকারিতা

কিচমিচ কিভাবে তৈরি হয় ও কিসমিস খাওয়ার উপকারিতা কিসমিসের সাথে আমরা কম বেশি সবাই পরিচিত হয়ে থাকি। সাধারণ কোন খাদ্য সুস্বাদু করতে কিসমিস ব্যবহার হয়ে থাকে। তবে আরো হাজারো বেশি উপকার রয়েছে এর ভিতরে। যৌন স্বাস্থ্য থেকে শুরু করে দেখছো কপাল কত খারাপ হলে কি হয় এখন দুই লাখ টাকা থাকলে ৫ হাজার টাকা আছে আমার কাছে কয় স্যার আপনি আমার কাছ থেকে আমার ইনকাম করতেছেন কি করবো রক্ত বৃদ্ধিতে কিসমিসের ভূমিকা অসাধারণ। আজকে আমরা জানবো কিচমিচ কিভাবে তৈরি হয় ও কিসমিস খাওয়ার উপকারিতা।

কিচমিচ কিভাবে তৈরি হয় ও কিসমিস খাওয়ার উপকারিতা


কিচমিচ কিভাবে তৈরি হয় ও কিসমিস খাওয়ার উপকারিতা

শারীরিক বিভিন্ন বিষয়ে সরাসরি ভূমিকা রেখে থাকে শুকনো কিসমিস। কিন্তু আমাদের মধ্যে কেন যেন মনে হয় শুধু কিসমিস খাওয়ায় স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর। বাজার কিনতে পাওয়া কিসমিস স্বাস্থ্যকর কিনা তা আমরা ভালোভাবেই জানি। এমনই আবার সামান্য কয়েকটি কিসমিসের দাম নেওয়া হয় এত বেশি যা অনেকের কাছে নিয়মিত খাওয়া অসম্ভব। সকলের কাছে অতি পরিচিত একটি ফল হচ্ছে আঙ্গুর। আর এই আঙ্গুর ফলের শুকনো রূপ হচ্ছে কিসমিস ফল। আঙ্গুর ফলকে কয়েকটি পদ্ধতিতে অবলম্বন করে কিসমিস রূপ দেওয়া হয়। এজন্য মূলত হচ্ছে কিসমিসকে শুকনো ফলের রাজা বলে থাকে। নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন কিসমিস কি। এখন মাথায় কি চিন্তা হচ্ছে আপনার যে তাহলে কিসমিস তৈরি করতে আঙ্গুর ফল কিনে শুকিয়ে নিলে হয়ে যাবে। তাহলে বলব আপনার ধারনা ৪৫% সঠিক। 

কিচমিচ কিভাবে তৈরি হয় ও কিসমিস খাওয়ার উপকারিতা

তবে আঙ্গুর ফলকে সরাসরি শুকালে কিসমিস তৈরি হবে না। এর জন্যই আপনাকে ঘরে বসে কিসমিস তৈরির সম্পূর্ণ নিয়ম জানতে হবে। নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন যে আজকের সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়লে আপনিও ঘরে বসে কিসমিস বানাতে পারবেন এবং তার সঠিক ব্যবহার করতে পারবেন। যে ঘরে বসে খুব সহজে তৈরি করা যায় স্বাস্থ্যসম্মত কিসমিস ফল। পরিমাণ মতো লম্বা ধরনের আঙ্গুর ফল নিন, বিশুদ্ধ পানি ঝরানোর চালি, সুতির পরিষ্কার কাপড়, রান্না ঘন কিংবা কিচেন। আমাদের জানা হয়ে গেল কিসমিস তৈরির পদ্ধতি অনুযায়ী কিসমিস তৈরিতে কি কি লাগবে। জিনিসগুলো আমাদের কাছে থাকলে কিসমিস তৈরি করা শুরু করে দিতে পারেন।

কিচমিচ কিভাবে তৈরি হয় ও কিসমিস খাওয়ার উপকারিতা

কিসমিস তৈরি করার জন্য যা যা দরকার তা নিচে সিরিয়াল অনুযায়ী উল্লেখযোগ্য করছি যাতে আপনার বুঝতে এবং সিরিয়াল অনুযায়ী কাজ করতে সুবিধা হয়। চলুন দেখে নেওয়া যাক ঘরে বসে কিসমিস কিভাবে তৈরি করা হয়। পরিষ্কারপাত্রের বিশুদ্ধ পানি চুলায় দিয়ে ফুটানো শুরু করুন। পানি যখন পড়তে শুরু করবে তখন আঙ্গুর ফল গুলি ফুটন্ত পানির মধ্যে দিয়ে দিন। পানি একটু বেশি পরিমাণে দিবেন যাতে আঙ্গুর ফলগুলো ফুটন্ত পানির মধ্যে ঘুরতে পারে। এবার পানি ফোটাতে থাকেন আর আঙ্গুর ফলগুলো সিদ্ধ করতে থাকুন।

কিচমিচ কিভাবে তৈরি হয় ও কিসমিস খাওয়ার উপকারিতা

কিছু সময়ের মধ্যে আঙ্গুর গুলো ফুটন্ত পানের উপরে ওঠে আসবে এবং আঙ্গুর ফলের একপাশে ফেটে যাবে। তখন বুঝতে হবে আঙ্গুর ফল সিদ্ধ হয়ে গেছে। চুলা থেকে নামিয়ে পানি ঝেড়ে ফেলতে হবে। একটি ঝাজরির উপরে পরিষ্কার সুতির কাপড় সিদ্ধ আঙ্গুর ফল গুলো রোদে দিন। ৩-৪ দিন খুব ভালো করে রোদে রাখুন এবং আঙ্গুর ফলগুলো পাতলা করে রাখুন। যাতে তাড়াতাড়ি শুকিয়ে যেতে পারে। সম্পূর্ণ হয়ে গেলে আপনার কিসমিস তৈরি হয়ে যাবে।

এখানে বলে রাখা ভালো অনেকদিন রোদে শুকানো যাবে না রোদ খুব ভালো হলে দুই তিন দিন শুকাতে হবে। আর একটু বেশি ভেজা লাগলে নিচে দিয়ে শুকিয়ে নিতে পারেন। ব্যাস হয়ে গেল আপনার কিসমিস তৈরি এখন নিশ্চয় বুঝতে পারছেন ঘরে বসে কিসমিস কিভাবে তৈরি করা হয়।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url