এন্টিডিপ্রেসেন্টস কি আপনাকে সেনাবাহিনী থেকে অযোগ্য করে?
এন্টিডিপ্রেসেন্টস কি আপনাকে সেনাবাহিনী থেকে অযোগ্য করে? বাংলাদেশ সেনাবাহিনী আমরা শান্তিতে সর্বোচ্চ দেশের তরে এর মূলমন্ত্রধারা বাংলাদেশ সেনাবাহিনী পরিচালিত হচ্ছে। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আহবানে স্বাধীনতার মহান স্থপতি সংগ্রামের বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর জন্ম হয়েছিল। জন্ম লগ্ন থেকেই ত্যাগ তিতিক্ষা ও চড়াই উৎরাই পেরিয়ে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর আজ একটি দক্ষ চৌকাস বাহিনী হিসেবে গড়ে উঠতে সমর্থ হয়েছেন।
সার্বভৌমত্ব দেশের স্বাধীনতা ও অখণ্ডতা রক্ষার পাশাপাশি বাংলাদেশ সেনাবাহিনী শান্তি প্রতিষ্ঠায় বিশ্ব পরম মন্ডলে আজ একটি অতি পরিচালিত ও গর্বিত নাম। সামরিক দায়িত্ব পালনের সাথে সাথে প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলা সহ যেকোনো অভ্যন্তরীণ সংকট এবং দেশের অবকাঠামো উন্নয়নের বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সদস্যরা সকল ক্ষেত্রে অসামরিক প্রশাসনকে সহযোগিতা করে যাচ্ছে।
এন্টিডিপ্রেসেন্টস কি আপনাকে সেনাবাহিনী থেকে অযোগ্য করে?
সেনাবাহিনী আর্মি নামটি উদ্ভূত যা প্রাচীন ফরাসি থেকে এসেছে। সেনাবাহিনী একটি যুদ্ধবাহিনী যারা প্রধানত ভূমিতে যুদ্ধ করে থাকে। সেনাবাহিনী একটি দেশের সামরিক বাহিনী স্থল শাখা তবে সে ক্ষেত্রে বিশেষ সেনাবাহিনীর অধ্যায়ন শাখা ও থাকতে পারে।কোন দেশে সেনাবাহিনী বলতে পুরো সশস্ত্র বাহিনীকে বোঝায় যেমন তিন একটি জাতীয় সাময়িক বাহিনীর মধ্যে। অনেক দেশে সেনাবাহিনীকে বিমান বাহিনী থেকে আলাদা করতে আনুষ্ঠানিকভাবে স্থল সেনাবাহিনী বলা হয়ে থাকে। জাতীয় সাময়িক বাহিনী মধ্যে আর্মি বলতে অনেক সময় ফিল্ড আর্মিও বোঝায়।
বিমান বাহিনী সেনাবাহিনী নামে পরিচালিত কিছু দেশে ও সাধারণ ব্যবহারের ক্ষেত্রে সেনাবাহিনী বলতে স্থল বাহিনীকে বুঝায়। সংগ্রিয় সদস্য সংখ্যার দিক দিয়ে বিশ্বের সর্ব বৃহত্তম সেনাবাহিনী হচ্ছে গণমুক্তি সেনা স্থল চীনের বাহিনীর যাদের মোট সংখ্যা সদস্য অনেক। ফিল্ড আর্মি একটি সদর দপ্তর বিভিন্ন সংখ্যকোরো ডিভিশন সম্পূর্ণ গঠিত। ডিভিশন কোর সমূহকে প্রয়োজন অনুযায়ী স্থাপন করে শত্রুর দুর্বল অবস্থানে চাপ বৃদ্ধির মাধ্যমে ফিল আর্মি স্তরে একটি যুদ্ধকে প্রবাহিত করে থাকে। আর্মি নেতৃত্ব দেন একজন জেনারেল বা ল্যাফটেন্ট জেনারেল।
পাকিস্তান সেনাবাহিনী কিভাবে দেশটিতে নিয়ন্ত্রণ করে থাকে রাজনীতি অর্থনীতি আর সমাজ ব্যবস্থা?
পররাষ্ট্র নীতিতে ইমরান খানের সেনাবাহিনীর মত বিরোধ ছিল। কয়েক দিনের চূড়ান্ত নাটকীয় তারপর প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন পাকিস্তান মুসলিম লীগ নওয়াজের সভাপতি সাহেব।এর আগে ১০ এপ্রিল পার্লামেন্ট অনাস্থা ভোটের হেরে পাকিস্তানে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পথ সরে দাঁড়াতে বাধ্য হন ইমরান খান। ইমরান খানের পতনের পর পাকিস্তানের রাজনীতি নতুন করে সেনাবাহিনীর ভূমিকার কথা আলোচনা এসেছিল বিদায়ের পেছনের শক্তি হিসাবে আঙ্গুল উঠেছে দেশটির সেনাবাহিনীর উপরে। পাকিস্তানের সেনাবাহিনারা সাথে মত পার্থক্যের কারণেই সরে যেতে হয়েছে ইমরান খানকে। যদিও নাটকীয়তা উত্তেজনার মধ্যে রাজনীতির মূলমন্ত্রে দেখা যায়নি সেনাবাহিনীতে।
দেশটির রাজনীতিতে সামরিক বাহিনীর এত প্রাধান্য সেটি তার কিভাবে অর্জন করেছেন আর কিভাবে বা তা বজায় রাখছে? কেবল এবারের ঘটনা প্রবাহে নয় পাকিস্তানের রাজনীতি যে কোন পালা বদলের কারণে সেনাবাহিনীর সম্পৃক্ততা হয়ে উঠতে দেখা গিয়েছিল। নতুন একটি রাষ্ট্র হিসাবে যখন পাকিস্তান রাষ্ট্রের আত্মপ্রকাশ ঘটে, রাজনৈতিক নেতৃত্বের হাত ধরেই। অল্প সময়ের মধ্যেই দেশটির রাজনীতি সামরিক বাহিনীর প্রবেশ ঘটছিল।
একেবারে শুরু থেকেই পাকিস্তানের রাজনীতিতে সাময়িক বাহিনীর সম্পৃক্ততা অনেক ছিল।সে কারণে শুরু থেকেই সেনাবাহিনী গুরুত্ব পেয়ে এসেছিল যা ক্রমে রাজনীতি তাদের প্রভাব বিস্তারের পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছিল বলে মনে করেন আয়েশা সিদ্দীকি। বলেছিলেন বেসামরিক নেতৃবৃন্দকে নিজেদের নিয়ন্ত্রণ করতে দেয়নি সেনাবাহিনীরা। বিশ্বযুদ্ধের পর সেনাবাহিনীরা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা হয়ে উঠেছিল কারণ তখন জাতীয় নিরাপত্তা হয়ে উঠেছিল জরুরি বিষয়।
এরপর সেনাবাহিনী একটি স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান হয়ে ওঠে। তারা নিজেরা নিজেদের সিদ্ধান্ত নিতো প্রতিরক্ষা বিষয়ের সব সিদ্ধান্ত সেনাবাহিনীরা প্রবাহিত ছিল। এ সকল বিষয় নিয়ে নেতৃবৃন্দকে কোন বিতর্ক কিংবা হস্তক্ষেপ করা কিংবা প্রতিরক্ষা বিষয়ক সিদ্ধান্ত নেওয়ার সুযোগ মিলিটারা কখনোই দিত না। তারা একটি স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান পরিণত হয়।ক্রমে যেটি অত্যন্ত ক্ষমতাবান প্রতিষ্ঠান হয়ে ওঠে।
রাজনৈতিক নেতৃত্বের ব্যর্থতা বিষয় কি?
পাকিস্তান রাষ্ট্রের সেনাবাহিনীর অবস্থান এখন বর্তমান শক্তিশালী যে কোন রাজনৈতিক দলই তাদের সাথে আপোষ না করে টিকে থাকতে পারে না। এই পর্যন্ত দেশটির কোন প্রধানমন্ত্রী পাঁচ বছর মেয়াদ পূর্ণ করতে পারেনি। সেনাবাহিনী ক্ষমতা কাঠামোর খুব কাছাকাছি থাকলেও দেশটিতে সাময়িক স্থান হয়েছিল জেনারেল আইয়ুব খানের নেতৃত্বে।এর আগেই দেশটির শাসনব্যবস্থার সাময়িক বেসামরিক যৌথ অংশীদারিত্ব চালু হয়েছিল তার রাজনীতিবিদদের ব্যর্থতা এবং অদক্ষতার কারণেই। বাংলাদেশ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্কে বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক আমেনা মহসিন বলেছিলেন পাকিস্তানের রাজনৈতিক নেতৃত্ব রাজনীতি থেকে সেনাবাহিনীকে প্রকৃত পৃথক না করে বরং বারবার তাদের উপর নির্ভর করেছে। যার ফলে দেশটির সামরিক বাহিনী এত প্রভাবশালী হয়ে উঠেছে।
পাকিস্তানি একটি রাজনৈতিক ভ্যাকুয়াম ছিল পাকিস্তানের সিভিল মেলেটারি অ্যালায়েন্স বলে একটা ব্যবস্থা ছিল। আমলাদের প্রচন্ড দাপট ছিল দেশের রাজনৈতিক ইনস্টিটিউশন না থাকার কারণে তাহলে আপনি সেই সব ইনস্টিটিউশন এর উপর অতি নির্ভরশীল হয়ে যাবেন যারা এডমিনিস্ট্রেশন টিকিয়ে রাখবে। তিনি বলেন আমলা সেনাবাহিনী এবং গোয়েন্দা বাহিনী ক্ষমতাবান থাকে এক্ষেত্রে গোয়েন্দা বাহিনী খুবই শক্তিশালী হয়ে যায় পাকিস্তানের আইএসআইয়ের ব্যাপারে আমরা দেখি এক সময় দেখা যায় রাজনীতিবিদরা যেহেতু ওদের কাছ থেকে অনেক ধরনের সুযোগ-সুবিধা নিয়ে থাকেন তাদের উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েন ওদের ক্ষমতাটা অনেক বেশি হয়ে যায়।
অর্থনীতিতে বড় শক্তির বিষয় কি?
সেনা অভ্যস্তান হবার পরে সেনাবাহিনী আর র্যাব কে ফিরে যায়নি। রাষ্ট্র পরিচালনার জন্য দায়িত্ব রাজনৈতিক নেতৃত্বের হার্ট ফিরলেও সেনাবাহিনী সব সময় ছিল ক্ষমতার আশেপাশেই। ইতিহাসে সাময়িক বাহিনীর পাকিস্তানের শাসন করেছে ৩৩ বছর। তারা রাষ্ট্রক্ষমতায় ছিল না তখনও তাদের প্রাধান্য ছিল সব কিছুতেই। সেজন্য নিরাপত্তার প্রশ্নটিকে ব্যবহার করেছেন তারা বরাবরই, যেহেতু রাষ্ট্র আত্মপ্রকাশের অল্প সময়ের মধ্যেই ভারতের সাথে সীমান্তে একটি বড় যুদ্ধে জড়িয়ে পড়েছিল পাকিস্তান, এর ফলে নিরাপত্তার ইসুটি প্রতিষ্ঠিত করা খুব সহজ হয়েছিল তাদের জন্যই।
পাকিস্তান আয়েশা সিদ্দীকি বলেছেন এর পিছনে অর্থনীতি খুব জরুরী ভূমিকা পালন করে।পাকিস্তানের জাতীয় ব্যয়ের প্রায় এক তৃতীয়াংশ খরচ হয় সেনাবাহিনীর অংশে। সাথে দেশটির কৃষি ও শিল্প উৎপাদন সহ নানা ধরনের ব্যবসার কাজে জড়িত রয়েছে সেনাবাহিনী। পাকিস্তানের অর্থনীতিতে তারা সবচেয়ে বড় ভূমিকা প্লেয়ারদের একটি। কৃষি ও শিল্প উৎপাদন থেকে সেবা খেতে সেনাবাহিনী শত ধরনের ব্যবসা আছে। সরকারের ব্যয়ের ৩০ শতাংশ বেশি তাদের পিছনে খরচ হয় এর মধ্যে প্রতিরক্ষা বাজেট বড় অংকের পেনশন ভাতা তো আছেই। সেনাবাহিনীর প্রতিষ্ঠান চালাচ্ছে তার মধ্যে কৃষি শিক্ষা সার কারখানার অনেক রয়েছে। সমাজকে এর মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করে সেনাবাহিনী শিক্ষা ক্ষেত্রে আছে তার মাধ্যমে তাদের প্রচার একমাত্র বাহিনী এবং আন্তর্জাতিক শত্রুদের থেকে রক্ষা করে আসছে। পররাষ্ট্র নীতির নিয়ন্ত্রণ পাকিস্তানের দেশটির সেনাবাহিনীর প্রভাব ব্যাপক হারে।
এমনকি পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর সাথে বহিবিশ্বের সম্পর্ক নিয়ে প্রকাশ্য কথা বলতেও দেখা যায়। বই বিশ্বের সাথে পাকিস্তানের সম্পর্ক হবে তা নির্ধারিত হয় দেশটির সেনা সদর দপ্তরে। ইউক্রেন রাশিয়া সংকট শুরু হলে ইউক্রেনের রাশিয়ার সামরিক অগ্রাসন সমর্থক যোগ্য নয় বলে মন্তব্য করেছিলেন দেশটির সেনাপ্রধান কামার বাজওয়া। পাকিস্তানের ইমরান খান সে সময় রাশিয়ার সফরে ছিলেন এবং তিনি পশ্চিমা দেশগুলোর চাওয়া অনুযায়ী ততক্ষণই যুদ্ধের ব্যাপারে মন্তব্য করতে রাজি ছিলেন না।
এই বিষয়টি নিয়ে সমালোচনা থাকলেও দেশটির সাবেক সাময়িক কর্মকর্তারা পররাষ্ট্রনীতি সেনাবাহিনীর প্রভাবকে যৌক্তিক বলে মনে করে থাকেন। পাকিস্তানের সাবেক সামরিক কর্মকর্তা করাচি কাউন্সিল এর অন করেন রিলেশনস এর চেয়ারম্যান ইকরাম শেওকাল বলেছেন পাকিস্তানের পররাষ্ট্রনীতে আর্মি সব সময়ই প্রভাবশালী ছিল এটি নতুন কিছু নয়। যখন পাকিস্তান আর বাংলাদেশ একসাথে ছিল আর্মি প্রভাবশালী ছিল বহুগুণ। আপনাকে বুঝতে হবে জাতীয় নিরাপত্তা বিষয়টি নির্ভর করে থাকেন গোয়েন্দা সংস্থার কাজ থেকে কি তথ্য পাচ্ছেন?
সেনাবাহিনীর গোয়েন্দা সংস্থা খুবই সংঘটিত সেটাপ ব্যবস্থা আছে যা দিয়ে তারা সকল ধরনের খবর সংগ্রহ করে এবং সেগুলো বিশ্লেষণ করে থাকেন। তারা সেটি পররাষ্ট্র দপ্তরে পাঠায় এবং পররাষ্ট্র দপ্তরের সাথে খুব নিবিড় ভাবে কাজ করে থাকেন নিরাপত্তা শহীত।সমাজে গণতান্ত্রিক পরিবেশ নিশ্চিত করার পূর্ব শর্ত হচ্ছে। যে কোন ধরনের কৃতিত্ব বা নিয়ন্ত্রণ ছাড়া জনগণের কাছে জবাবদিহিতার ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত করা পাকিস্তানের ইতিহাসে অনুপস্থিত ছিল বরাবরই। মূলত কোন দেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতির সাথে সম্পর্কিত অন্যতম বড় নির্দেশক হচ্ছে জনগণের জবাব দিয়ে তার সাথে আকাঙ্ক্ষা তৈরি হওয়া।
সমাজ সাময়িক সরকারের পাকিস্তানের চ্যালেঞ্জ করার খবর মোটেও শোনা যায় না।পাকিস্তানের একটি পাল্টা ন্যারিটি ও আছে যেমন অনেক মনে করেন প্রায় দুই শত বছর ধরে পাকিস্তানের এখন সরাসরি সেনাবাহিনী দেশ পরিচালনা করে আসছে। পাকিস্তানের সাংবাদিক ও প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞ বিরুদ্ধে দেখা যায় না। মানুষ যেটা দেখতে সেটা হচ্ছে নির্বাচিত সরকার যখন কোন আর্থসামাজিক বিষয় নিয়ে প্রশ্ন ওঠে জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নেবে। সুশাসনের ঘটিত হয় বিচার ব্যবস্থা ও পুলিশ বাহিনীর সংস্করণের প্রশ্ন ওঠে যদি খাদ্য ঘাটতি বা মূল্য স্থাপিত নিয়ে প্রশ্ন ওঠে তাহলে সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার কোন মানেই হয় না।