ঠান্ডা জ্বরের ঔষধের নাম

ঠান্ডা জ্বরের ঔষধের নাম আপনার যদি ঠান্ডা জ্বর হয়ে থাকে কিংবা সর্দি কাশির ওষুধের জন্য আপনার প্রয়োজন নয় প্রেসক্রিপশনের। আপনারা এই পোষ্টের মাধ্যমে সকল ঠান্ডা ও কাশির ওষুধের নাম জানতে পারবেন। আপনারা অনেকে আছেন যারা ঠান্ডা কাশিতে ভুগছেন, ঠান্ডা কাশির জন্য ঔষধের নাম জানতে চাচ্ছেন, তাদের উদ্দেশ্যে এই পোস্টটি তৈরি করা হয়েছে। জ্বর স্বাভাবিকভাবে শরীরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি করে তখন সেই অবস্থানকে জ্বর বলে অর্থাৎ শরীরের স্বাভাবিক তাপমাত্রা অতিরিক্ত বেড়ে যাওয়া। শরীরে তাপমাত্রা হঠাৎ কোনো কারণে বেড়ে গেলে গরম অনুভব হলে সেই ক্ষেত্রে শরীরের অবস্থাকে জ্বর বলে। যার পরিমাপ করার জন্য যে যন্ত্র ব্যবহার করা হয় তাকে থার্মোমিটার বলে থাকে। জ্বরের সাথে সর্দি হতে পারে সর্দি সাধারণত ভাইরাস দ্বারা সৃষ্টি হয়। শ্বাসযন্ত্রে বিভিন্ন ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের কারণে সর্দি হয়ে থাকে।

ঠান্ডা জ্বরের ঔষধের নাম


ঠান্ডা জ্বরের ঔষধের নাম

জ্বর সর্দি কাশি একে অপরের সাথে সম্পর্কিত একটা সমস্যা দেখা দিল আরেকটা সমস্যা দেখা যায়।জ্বর কাশি সর্দি সমস্যা শুরু হওয়ার আগে শরীর একটু করে ভবিষ্যদ্বাণী করে।আসুন এই বিষয়টি জানাজাক। আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে জ্বর কাশি সর্দি সবচেয়ে বেশি হয়ে থাকে জ্বরের সাথে ঔষধ খাওয়া অনেক সময় জ্বরের আসল কারণ জানা যায় না এবং আরও গুরুতর সমস্যা দেখা দিয়ে থাকে। আপনি ইচ্ছা করলে কোন প্রেসক্রিপশন ছাড়া ঘরে বসে দ্রুত জ্বর কাশি সর্দি নিরাময় করতে পারেন।

জ্বর কাশি সর্দি যেন আমাদের নিত্যদিনের সঙ্গী হয়ে দাঁড়িয়েছে আবহাওয়া পরিবর্তনের সাথে শুরু হয় আমাদের নানা রকম সমস্যা। সব থেকে বেশি যে সমস্যা গুলো হয়ে থাকে দেখা যায় তা হল জ্বর কাশি সর্দি। ছোট থেকে বৃদ্ধ পর্যন্ত এই সমস্যাগুলো প্রায় সবার মাঝে দেখা যায়। এই সমস্যাগুলো মারাত্মক না কিন্তু কখনো এই সমস্যাগুলো বড় রকমের রোগের লক্ষণ হতে পারে। আমরা অবহেলা না করে সাধারণত ঘরোয়া পদ্ধতিতে জ্বর কাশি সর্দি ভালো হয়ে যায়। ঘরা পদ্ধতিতে জ্বর কাশি সর্দি ভালো হয়ে যায় যদি না ভালো হয় তাহলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবেই। আজকের এই পোস্টে আমরা জ্বর কাশি সর্দি লক্ষণ জর সর্দির কাশির ঘরোয়া পদ্ধতি শিখব এবং জ্বরের এন্টিবায়োটিক ট্যাবলেট এর নাম সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা জানব।

জ্বর বলতে আমরা স্বাভাবিকভাবে শরীরের তাপমাত্রা যখন বেড়ে যায় তখনই সেই অবস্থানকে জ্বর বলে থাকে আমাদের দেহের স্বাভাবিক তাপমাত্রা হলো 36 থেকে 37 ডিগ্রি সেলসিয়াস, এর থেকে বেশি যদি 98.4 ডিগ্রি সেলসিয়াস হয়ে যায় তাহলে বুঝে নিতে হবে আমাদের জ্বর হয়েছে। কোন কারণ ছাড়া যদি হঠাৎ দেহের তাপমাত্রা বেড়ে যায় গরম অনুভব হয় তবে সেই শরীরে অবস্থানকে আমরা জ্বর বলে থাকি। আমাদের শরীরে জ্বর সর্দি কাশি আসাটা স্বাভাবিক এই বিষয়টি এত চিন্তিত হওয়ার নেই। জ্বর সর্দি কাশি যেমনটা আসে ঠিক তেমনটাই নিরাময় করা সম্ভব।

জ্বর কাশি সর্দির জন্য অনেক ঔষধ ট্যাবলেট তৈরি করা হয়েছে। আজকে আমরা আপনাদের মাঝে তুলে ধরব কিছু ঔষধের ট্যাবলেটের নাম। আমাদের শরীরে যে জ্বর সর্দি কাশি হয়ে থাকে একটার সাথে আরেকটা সম্পর্ক রয়েছে তাইতো একটা সমস্যা দেখা দিলে সাথে সাথে অন্যগুলো দেখা দেয়। হঠাৎ ঠান্ডায় কাঁপন এবং শীত শীত অনুভব হওয়ায় জ্বর আসতে পারে। মাথা ব্যাথা বা যন্ত্রণা শুরু হয়ে যেতে পারে চোখ জ্বালা ভাত লাগা খাবার রুচি কমে যাওয়া। হঠাৎ করে শরীরে ঘামতে শুরু করা শরীরের তাপমাত্রা গরম অনুভব হওয়া চোখ মুখ লাল হয়ে গেলে শরীরের দুর্বল অনুভব হওয়াকেই আমরা জ্বর বলে থাকি।

ঠান্ডা জ্বরের ঔষধের নাম কি?

জ্বর কাশি সর্দি আবহাওয়া পরিবর্তনের কারনেই সব থেকে বেশি হয়ে থাকে জ্বর দেখা দিলে সাথে সাথে ঔষধ খাওয়াটা উচিত নয়। কখনো জ্বরের আসল কারণ না জানা থাকায় আরো মারাত্মক সমস্যা দেখা দেয়। প্রাথমিকভাবে ঘরোয়া পদ্ধতিতে কোনরকম ক্ষতি ছাড়াই জ্বর কাশি সর্দি দ্রুত নিরাময় করতে পারবেন চলুন জেনে নেই। 

তুলসী পাতা জ্বর কাশি সর্দি গলা ব্যথা আরো বিকৃত রোগের কাজে তুলসী পাতা খুবই জনপ্রিয়। তুলসী পাতার রস রোগের জন্য চমৎকারভাবে কাজ করে থাকে। তুলসীর অনেক গুন আছে, তুলসী পাতাতে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের উপাদান এন্টিবায়োটিক এন্টি ব্যাকটেরিয়া ইত্যাদি জোর কাশি সর্দির দ্রুত নিরাময় হয়ে থাকে। কয়েকটি তুলসী পাতা ভালো করে ধুয়ে হালকা গরম পানিতে পাতাগুলো পটিয়ে নিবেন, ফুটানো পানি এক কাপ করে নিয়মিত খাবেন তাহলে দ্রুত সর্দি জ্বর কাশি ভালো হয়ে যাবে।

আদা কাশির জন্য খুবই উপকারী আগে থেকেই মানুষ জ্বর কাশি সর্দির জন্য আদা খেয়ে থাকতো। আদার মধ্যে থাকার রসায়নিক উপাদান আমাদের শরীরে অনেক রকম সমস্যা থেকে মুক্তির জন্য সাহায্য করে থাকে। এক কাপ চায়ের সাথে আদা মিশ্রণ করে আদার রসের সাথে মধু মিশিয়ে খেতে পারেন। আদা মুখে নিয়ে চিবিয়ে খেতে পারেন সর্দি কাশির জন্য বেশ উপকার একটি উপায়।


দারুচিনি গলা ব্যথা ঠান্ডা লাগা কফ এই সকল সমস্যা দূর করে থাকে খুব কার্যকারী একটি উপাদান। দারুচিনি এন্টি ফাংগাল এন্টি ব্যাকটেরিয়া এবং এন্টি ভাইরাল উপাদান বিদ্যমান বিভিন্ন সমস্যা থেকে মুক্তি করে থাকে। দারুচিনি এক চামচ মধুর সঙ্গে মিশিয়ে কমপক্ষে তিন দিন দুই তিন বার করে খাবেন। চায়ের সাথে দারুচিনি দিনে কয়েকবার চা খেতে পারেন এতে সর্দি কাশির জন্য বেশ উপকার হয়ে থাকে।

রসুন পাঁচ থেকে ছয় কোয়া ভালো করে থেঁতো করে নিয়ে সেটা মুখে নিয়ে খেতে পারেন।রসুন বিভিন্নভাবে খেতে পারেন খাওয়ার পর ভালো করে মুখ ধুয়ে নিবেন না হয় মুখে রসুনের গন্ধ থেকে যাবে। রসুন থেতো করে না খেতে পারলে সুপের সঙ্গে মিক্স করে খেতে পারেন অথবা তরকারি কিংবা অন্য কোন খাবারের সাথে রসুন দিয়ে সেটা ও ভাতের সঙ্গে মিশেও খেতে পারেন। 

ধনী বিচ রান্নায় ব্যবহার করে থাকি কিন্তু আমরা অনেকেই হয়তো জানি না যে এই ধনী বিচ শুধু রান্নার স্বাদ বাড়ানোর জন্যই ব্যবহার হয় না পাশাপাশি বিভিন্ন রোগ থেকে নিরাময় করে থাকে। ধনে বীজ কার্যকরী ভূমিকা অনেক আছে। ধনী বীজ আপনি যেভাবে ইচ্ছা সেইভাবেই খেতে পারেন তরকারির সাথে অথবা কোন ভর্তার সাথে মিশ্রণ করে খেতে পারেন। ধনী বেস আপনার শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলবে সর্বদা।

মধুকে বলা হয় সর্ব রোগের ঔষধ মধু এমন একটি উপাদান যাতে কোন পার্শ্ব প্রক্রিয়া নেই। সকল ধরনের সমস্যায় মধু কার্যকারিতা ভূমিকা রেখে থাকে। জ্বর সর্দি কাশি দূর করার কারণে মধু খুব ভালো কাজ করে থাকে। আপনি মধু যেমন ইচ্ছা সেভাবেই খেতে পারেন মধু হাতে নিয়ে খেতে পারেন বা চায়ের সাথে মধু মিশ্রণ করে মিশিয়ে খেতে পারেন। কাশির সমস্যা হলে তুলসী পাতার সাথে মধু মিশ্রণ করে খেতে পারেন। এতে গলায় কফ পরিষ্কার করতে সাহায্য করবে, সর্দি-কাশির জন্য প্রতিদিন সকালে মধু ও তুলসী পাতা একসঙ্গে খেতে পারেন।

জ্বরের কিছু ট্যাবলেট এর নাম

  • Napa Extra
  • Napa Rapid
  • Napa Extend
  • Ace Plus
  • Fast Plus

এন্টিবায়োটিক কিছু ট্যাবলেট এর নাম

  • Zimex 500 mg
  • Zimex 250 mg
  • AZ 500 mg
  • AZ 250 mg
  • Adiz 250 mg
  • Adiz 500 mg
  • Azin 500 mg
  • Azin 250 mg

সর্দির কিছু ট্যাবলেট এর নাম

  • Acorex 30mg
  • Ambrox SR 75mg
  • Ambeet 75mg
  • Ambroxol SR 75mg
  • Ambozin SR 75mg

কাশির কিছু ট্যাবলেট এর নাম

  • Ocof
  • Sudocof
  • Dexpoten
  • Ambolit
  • Boxol
  • Tusca Plus
  • Adovas
  • Ambrox

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url