ওরস্যালাইন বানানোর নিয়ম ও দিনে কয়টা স্যালাইন খাওয়া যায়

ওরস্যালাইন বানানোর নিয়ম ও দিনে কয়টা স্যালাইন খাওয়া যায় এমনিতেই ডায়রিয়ার জন্য আলাদা কোন ওষুধের প্রয়োজন হয় না পানি শূন্যতা রোদের জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ তরল জাতীয় খাবার খেলে এটা আইডিয়া সেরে যায়। আর এই ক্ষেত্রে সবচেয়ে কার্যকর পথ হচ্ছে খাবার স্যালাইন। এবং বমি থেকে শরীরে পানি শূন্যতা দেখা দেয়। এরকম পরিস্থিতির খাবার স্যালাইন পান করতে হয়।এর উপকারিতা অনেক রয়েছে। বাংলাদেশের সরকারের ওয়েবসাইটে করোনা ডট কম বিডির প্রতিবেদনে উঠে এসেছে। তাই আজকে এই পোষ্টের মাধ্যমে ওরস্যালাইন বানানোর নিয়ম ও দিনে কয়টা স্যালাইন খাওয়া যায় এই বিষয় নিয়ে তুলে ধরব।



ওরস্যালাইন বানানোর নিয়ম ও দিনে কয়টা স্যালাইন খাওয়া যায়

ডাইরির জন্য আলাদা কোন ওষুধের প্রয়োজন হয় না পানি শূন্যতা রোদের জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ তল জাতীয় খাবার খেলে দায়রা সেরে যে থাকে। আর এই ক্ষেত্রে সবচেয়ে কার্যকর পথ হচ্ছে খাবার স্যালাইন । শরীরের জন্য জরুরী কিছু লবণের শুকনো মিশ্রণ যেটাকে বিশুদ্ধ পানির সাথে মিশিয়ে খেতে হয়। যেহেতু স্যালাইন শরীরের পানি ও লবণের ঘাটতি পূরণ করে থাকে তাই এটি সঠিক পরিমাণ হওয়া খুবই জরুরী। তা না হলে শরীরের প্রতিক্রিয়া তৈরি করতে পারে।

ওরস্যালাইন বানানোর নিয়ম ও দিনে কয়টা স্যালাইন খাওয়া যায়

শুরুতে অবশ্যই দুই হাত ভালোভাবে ধুয়ে নিন, এরপর সাইলেন্ট বানানোর যে পাত্র সেটি এবং চামচ ভালোমতো পরিষ্কার করে নিন। প্রথম পাতা দুই পোয়া বাধা লিটার বিশুদ্ধ পানি নিতে হবে। তাতে স্যালাইনের প্যাকেটের পুরো মিশ্রণটি ঢেলে দিন। পরিষ্কার চামচের সাহায্যে মিশ্রণ ও পানি ভালোভাবে মিশিয়ে নিন। প্রয়োজন অনুযায়ী ডায়রিয়া ভালো হওয়ার আগ পর্যন্ত খাওয়াতে থাকুন।

ওরস্যালাইন বানানোর নিয়ম ও দিনে কয়টা স্যালাইন খাওয়া যায়

কোনভাবে পানির পরিমাণ কম বেশি করা যাবে না এক্ষেত্রে কাঙ্খিত ফলাফল তো পাওয়ার যাবেনা বরং শিশুদের ক্ষেত্রে ক্ষতিও হতে পারে। কোন ভাবে স্যালাইন পানি ছাড়া অন্য কিছু যেমন দুধ বা ফলের জুস বা ড্রিংসের সাথে মিশানো যাবে না। এমনকি তিনিও মেশানো যাবে না। শিশুদের ক্ষেত্রে স্যালাইন কাপে করে খাওয়ানোই ভালো। কারণ ফিডিং বোতল পুরোপুরি পরিষ্কার করা ঝামেলা হয় অনেক সময়। গরম পানিতে স্যালাইন বানানো যাবে না। স্যালাইনের পানীয় গরম করা যাবে না। বানানোর পর 12 ঘন্টা পর্যন্ত স্যালাইন ভালো থাকে।অর্থাৎ বানানোর 12 ঘণ্টা পর আর সেই স্যালাইন খাওয়ানো যাবে না সেটি ফেলে দিতে হবে।

ওরস্যালাইন বানানোর নিয়ম ও দিনে কয়টা স্যালাইন খাওয়া যায়

অনেক সময় জরুরি অবস্থায় প্যাকেটজাত খাবার স্যালাইনের হাতের কাছে না পাওয়া যেতে পারে। সে ক্ষেত্রে ঘরেই স্যালাইন প্রস্তুত করা নেয়া যেতে পারে এজন্য লাগবে চিনি লবন ও পানি। ৬ চামচ চিনিও আধা চামচ লবণ এক লিটার বিশুদ্ধ পানিতে ভালোভাবে গুলে নিলেই তৈরি হয়ে যাবে স্যালাইন। ফেলানের উপাদানে কম বেশি করা যাবে না চিনির পরিমাণ বেশি হয়ে গেলে ডায়রিয়া বেড়ে যেতে পারে আবার অতিরিক্ত লবণ শিশুর মৃত্যুর কারণও হতে পারে।

হাতে বানানো স্যালাইনের ক্ষেত্রে পানি ১ লিটার চাইতে সামান্য বেশি ব্যবহার করলেও সমস্যা নেই। আরেকটা ব্যাপার মাথায় রাখতে হবে বাজার অনেক ধরনের ফ্লেভার মিশ্রিত স্যালাইন পাওয়া যায় তবে রোগের চিকিৎসা এসব ফ্লেভার মিশ্রিত স্যালাইন বরং ক্ষতি বেশি করতে পারে। পর্যাপ্ত তরল খেতে থাকলে কোন ওষুধ ছাড়াই তিন থেকে চার দিনের মধ্যে ডায়রিয়া ভালো হয়ে যায়। যদি না হয়ে থাকে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url